রাঙামাটির লংগদুতে যে বাঙ্গালি যুবকের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে পাহাড়িদের দুই শতাধিক বাড়িঘরে আগুন, সেই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ক্ষমতাসীন দলের যুব সংগঠন যুবলীগের নেতা নুরুল ইসলাম, যিনি নয়ন নামেই স্থানীয়ভাবে বেশি পরিচিত, তার মোটরসাইকেল চুরির উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডকে বাঙালিদের ওপর পাহাড়িদের আক্রমণ হিসেবে বর্ণনা করে তার প্রতিশোধ হিসেবে বাঙালিরা পাহাড়িদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছিলো।
‘জলজ প্রাণীর জন্যে হুমকি হবে বাংলাদেশের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র’
পুলিশ বলছে, গত ১লা জুন লংগদু থেকে দু’জন পাহাড়ি যুবক মি. ইসলামের মোটরসাইকেলের যাত্রী হিসেবে খাগড়াছড়ি যায়, সেখান থেকে ফেরার পথে তারা তাকে হত্যা করে মোটরসাইকেলটি নিয়ে চলে যায়।
“জুনেল চাকমা এবং রোমেল চাকমা নামের গ্রেপ্তার দুজন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। লংগদু থেকে দু’জন মোটরসাইকেল ভাড়া করে নিয়ে আসে এবং খাগড়াছড়ি সদর থেকে কিছুটা দূরে তাকে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়। মোট তিনজন এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো,” বলেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান।
তিনি জানান, ছিনতাইকারীরা মোটরসাইকেলটি বিক্রি করারও চেষ্টা করেছিলো।
“তবে সেটি করতে না পেরে এবং লংগদুর ঘটনায় অবস্থা বেগতিক দেখে তারা খাগড়াছড়ির মাইনি নদীতে মোটরসাইকেলটি ফেলে দেয়,” বলেন তিনি।
তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার সকাল থেকে দীর্ঘ অভিযান শেষে বিকেল নাগাদ নদী থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে নৌবাহিনীর ডুবুরিরা।
অভিযুক্ত অপর হত্যাকারী বর্তমানে পলাতক।
ঐ হত্যাকাণ্ডের পর বাঙালিদের একটি অংশ বলে আসছিলো যে পাহাড়িরাই বাঙালি নুরুল ইসলামকে হত্যা করেছে, অপরদিকে পাহাড়িদের অনেকে বলছিলো, তাকে হত্যা করেছে বাঙালিরাই।
এখন হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ দুজন পাহাড়ির দিকে গেলেও বিষয়টি নিছক ছিনতাইয়ের ঘটনা হিসেবে উঠে আসায় উত্তেজনা কি কমবে?